সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ অপরাহ্ন
মঙ্গলবার দুপুরে এ আদেশ দেন খাগড়াছড়ির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি) আদালতের বিচারক, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদ আলম।
অভিযুক্তরা হলেন- পানছড়ি থানার সাবেক ওসি মো. নুরুল আলম, এসআই মো. জসিম উদ্দিন ও কনস্টেবল পারভেজ আহাম্মদ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, পানছড়ি থানার হাসপাতাল এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে মো. ফজল থানা সংলগ্ন ৪৮ শতক জায়গা ক্রয় সূত্রে মালিক ছিলেন। পানছড়ি থানার বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করতে গিয়ে তৎকালীন ওসি মো. নুরুল আলম, এসআই মো. জসিম উদ্দিন ও কনস্টেবল পারভেজ আহাম্মদ জোর জবরদস্তি তার জমির একাংশ দখল করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেন। এতে বাধা দিলে তাকে ও তার ছেলেকে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক দিয়ে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ১০ মার্চ রাত ৯টার দিকে অভিযুক্তরা জোর করে বাদীর ছেলের মোটরসাইকেল থানায় নিয়ে যায় এবং রেত দিয়ে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ও চেচিস নম্বর নষ্ট করে। এ বিষয়ে বাদী থানায় মামলা করতে চাইলেও মামলা নেওয়া হয়নি। পরে বাদী আদালতে এসে মামলা করলে আদালত তদন্তের নির্দেশ দেন।
পুলিশ পরপর দুইবার তদন্ত করলেও ঘটনার সত্যতা নেই উল্লেখ করে প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। বাদী নারাজি দিলে জুডিশিয়াল ইনকোয়ারির আদেশ দেন আদালত। জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি ও সিআইডি চট্টগ্রামের প্রতিবেদনে বাদীর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মামলাটি আমলে নিয়ে তিন পুলিশ সদস্যকে সমন জারি করে পরবর্তী তারিখে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
কোর্ট পুলিশের এসআই রাজু বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আইন সবার জন্য সমান। আদালতে তিন পুলিশ সদস্য নির্দেশিত সময়ে হাজির হবে।